বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নবীনরা আমাকে message করে বলেন আমি BBA, MBA করেছি। এখন কিছু কিছু চাকরিতে আবেদন করছি কিন্তু কোথাও কিছু হচ্ছে না। এখন আমি কি করতে পারি? আমাকে একটু সহায়তা করবেন কিভাবে আমার ক্যারিয়ার গড়তে পারি? Registration for Career Counseling
অন্যদিকে যারা অভিজ্ঞ প্রফেশনাল আছেন তারা বলেন আমি অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছি চাকরি পরিবর্তন করার কিন্তু কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারতেছি না মার্কেটে আমার ডিমান্ড নাই না কি মার্কেটে জব নাই। অনেক আবেদন করছি কোনো ফল হয়নি।
হ্যাঁ, বলা যায়।
চাকরি কি যে কেউ দিতে পারেন?
নবীন অবস্থায় যদি বলেন অভিজ্ঞতা কোথায় পাব তাদের জন্য আমার এ সামান্য লেখা।
পড়াশোনা করার পর চাকরি মার্কেটে আসলে আপনাকে এমন কথা শুনতে হবে। কেননা, যে সকল কোম্পানি আপনাকে হায়ার করবে তারা একটা সমস্যা সমাধান করাতে চায় আপনাকে দিয়ে। আপনি কি সেই সমস্যার কথা জানেন? সমাধান অনেক পরের বিষয়, আগে কি কি সমস্যার জন্য আপনি তাদের জন্য কাজ করবেন সেটা ঠিক করতে পেরেছেন? বিভিন্ন কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে এবং সেটা তারা সমাধান করতে অপরের সহায়তা নিয়ে থাকেন।
ধরুন, তাদের একজন ডিজাইনার দরকার। আপনি সেটা পছন্দ করছেন?
যদি হ্যাঁ হয় তবে, বিভিন্ন কোম্পানি কি কি ডিজাইন করে সেটা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিলেন কি কি ডিজাইন করে এরপর, কোন কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে সেগুলো করতে, সেটা জেনে নিলেন। এখন, চাকরি না খুঁজে এই সফটওয়্যার গুলো মেনেজ করতে তেমন কোন সমস্যা হবার কথা নয়। এরপর, ৭২০ ঘন্টা এটার উপর মাস্টারি চলবে। ৭২০ ঘন্টা? ৮*৩০*৩=৭২০ ঘন্টা (৩ মাস প্রতিদিন ৮ ঘন্টা) এখন দেখবেন ১০ টির বেশি প্রজেক্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা আপনার। নবীনরা শুধু সিভি পলিশ না করে ১০ প্রজেক্ট লিংক সিভিতে দিয়ে দিয়েন।
এর পর কোথায় দিব সিভি? কার কাছে দিব। ১০০ টা কোম্পানিকে আপনি খুঁজতে পারবেন না এমনটি নয়। তাদের ইমেল আইডি কালেক্ট করা খুব বেশি কঠিন কিছু নয়। প্রতিদিন ১০ টা ইমেইল করাই যায়। সাথে সাথে এই ১০ টা কোম্পানি থেকে লিংকড-ইনের সবাইকে কানেকশন করে ফেলা যায়। এই ভাবে আরও ৮*৩০*৩=৭২০ ঘন্টা পার করা যায় সাথে আরও ৫ টি প্রজেক্ট রেডি হবে না এমনটি নয়।
কাজটি যদি করতে পারেন ৬ মাসে একটা কাজের ব্যবস্থা হয়ে যাবে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। এটা শুধু ডিজাইন প্রফেশন হবে তেমন নয়, যেকোন বিষয় হতে পারে।
ছয়মাস পরেও যদি চাকরি না হয় তবে প্লান বি:
সেই ৩*৩০*৮=৭২০ ঘন্টা ধরে আবার কাজ শুরু। ১৫ টি প্রজেক্ট তখন দেখবেন আপনার কাছে ১০০০ টি কোম্পানির ডাটাবেইজ। এখন আপনি প্রতিদিন ১০ টি করে ইমেল করে ফেলুন, এবার চাকরির জন্য নয়। তাদেরকে ব্যাবসার কথা বলা যায়, আমি এটাতে অভিজ্ঞ। আমি আপনাদের এই কাজটা করে দিতে পারব। এখানে এসেও অনেক মানুষ হাল ছেড়ে দেয়। দেখুন, একটি গাছ কিন্তু একদিনে ফল দেয় না। নিজে একটা গাছ লাগিয়ে দেখবেন শুরু থেকে তার উপর দিয়ে কি না বয়ে যায়। তার পর একসময় ফল দেয়। কখনো হাল ছাড়বেন না।
এর পরের ৬ মাসে দেখবেন লাখ টাকার উপরে কাজ করে ফেলেছেন। এমন কিছু কাজ আছে যেখানে অভিজ্ঞতা নেয়া সম্ভব নয়, সেখানে ফ্রি কাজ করা যেতে পারে। এর পর যা যা করেছেন তা সিভিতে লিখে ফেলুন। আবার application for job করুন দেখবেন চাকরি অফার চলে আসবে অনেক গুলো। যদি আপনি সাধনা করেন এই সময়টা আপনার, তখন কাজের কোয়ালিটি ও পারফরম্যান্স দেখে আরও ১০ টি কোম্পানি আপনাকে অফার করবে। আর যদি এভাবেই চলতে থাকেন তবে দেখবেন একদিন আপনি জায়ান্টে পরিনত হয়ে গিয়েছেন।
No Excuse application for job
সমস্যা সমাধান
এই পৃথিবিতে অনেক সমস্যার মধ্যে আপনি যেটা সমাধান করতে পারেন সেটাই আপনার কাজ। যেমন ধরুন আমি লিখতে ভালোবাসি। সেটাই আমার ভালো লাগা। এখনকার যুগে কি করব কি করব করতে করতে আমাদের যুবোক সমাজ অনেক সময় পার করে ফেলেন তার পরও হতাশা কাটিয়ে একটি কাজ করতে সক্ষম হন না। সাথে আরও কিছু বিষয় আছে সেগুলোতেও তারা সময় কাটান অনেক। সেগুলোকে আমি খারাপ বলছি না তবে একটু বাড়া-বাড়ি হয়ে যাচ্ছে।
যাই হোক, সমস্যা সেটা লেখা হতে পারে, ডিজাইন হতে পারে, হতে পারে অনেক মানুষকে কোন বিষয় জানানো। নানান সমস্যা আমাদের চারপাশে। শুধু সময় বুঝে কাজে লেগে পড়তে হবে। এটাও একটা সমস্যা শুরু না করা। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ দেখবেন তারা কখনও কোন কিছু শুরু করতে ভয় পায়, কারন?
যদি না হয়!
যদি ফেল করি!
এটা করলে মানুষ কি ভাববে!
অমুক তো বিসি এস ক্যাডার আর আপনি কি ছেতা লেখেন!
অনেকে এমন পচা কথা শুনতেও নারাজ।
সত্যি কথা বলতে আমিও কয়েকটি বিষয়ে কাচা ছিলাম। সেগুলো আমার দারুন ভালো লাগা এবং আগ্রহও ছিল। তাই দেরি করিনি। শুরু করেছিলাম বলে আজ সেটাতে একটু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি।
তাই শুরু করুন, হাল না ছেড়ে চেষ্টা করুন সফলতা আসবেই।
ডাবল এফোর্ট application for job
একটা সময়ে জানতাম আমাকে কিছু করতে হবে। ইচ্ছা করলেও হবে না, আমাকে পরিশ্রম করতে হবে। টাইম সবারই সমান জনাব Elon Musk এর হাতে রাত দিন ২৪ ঘন্টা আমারও একই। তুলনা করছি না! উনি কোথায় আর আমি কোথায়। তাহলে আমি কেন নয়? প্রশ্ন করুন উত্তর পেয়ে যাবেন। আর যদি অজুহাত দেখান তবে পারবেন না, হা পারবেন না।
অবশ্য শুরুতে কত দিনকে দিন মনে করিনি, রাতকে রাত তার পরেও লেগে থাকার নামটাই সফলতা, যেটা সবাইকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
একজন কাজ করছেন ৯ ঘন্টা আরেকজন ১৮ ঘন্টা।
শুরুতে কোন ইফেক্ট বুঝতে পারা যায় না। বুঝবেন তখনি যখন দেখবেন বছর শেষে কেউ কাজ করছে ৯ ঘন্টা আবার কেউ কেউ ১৮ ঘন্টা। তাহলে বুঝতে পেরেছেন সফলতার আরেক নাম কি? আজ পর্যন্ত যারা সফল তারা এটাই ফলো করে আসছেন। একটা সময় পরে দেখবেন এই ১৮ ঘন্টা আপনার জন্য কিছুই না। তখন আরাম করতে পারবেন আর জীবনকে উপলব্ধি করতে কাজ ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নাই।
আমার জীবনের সর্বস্ব চলে গেছে তাই বলে আমি কিছু করে দেখাতে পারব না, এটা তো চলে যায় নি! আমি হয়তো বিসি এস দিতে প্রস্তুত নই তবে লেখাতে তেমন কিছু লিখেছি সেটা এই প্রমান করে বিসি এস সামান্য একটা পদ মাত্র। যদি বলেন করে দেখান? আমি জানি আমি পারব কিন্তু আপনাদের যেটা দরকার সেটা দিতে পারব না হয়তো, তাই মাফ করবেন।
অথচ এতদিনে আমার নিজের গল্পটা আমি তৈরি করিনি কেমন করে হয়ে আসছে জানি না। আজ পর্যন্ত যা আমার সাথে ঘটেছে সেটা ঘটনা, এখন থেকে যেটা ঘটবে সেটা পরিকল্পিত। যে পথে আমার বিচরণ তা খুবই দুর্গম, তার তোয়াক্কাও করছি না। ক্যারিয়ারে যা যা করেছি যদি বই লিখে ফেলি দুই মাসেও পড়ে শেষ করা মুসকিল। শুধু আমি বলব ১০ জনে লিখবে, না! একটু বশি বেশি হচ্ছে। একটা বিতর্কে শুনেছিলাম রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বলতেন আর ১০ জনে লিখতে হিমশিম খেতেন।
আমি শুরুতে তাদের জন্য কাজ করি যারা নিজেকে জানতে চায় আরও এগিয়ে রাখতে চায় নিজেকে। আমি তাদের হাতেই হাত রাখি যে বড় একটি প্রাচীর টপকাতে চায়। তাদের কাছথেকে কি পাচ্ছি, সেটা ভাবছি না এখন। ১০ বছর পরে যখন দেখা যাবে মানুষগুলো কেমন বদলে গেছে হটাৎ করে, তখনই আমার চাওয়া পুরন হবে। তখন আমি বলব “তুমি করেছ এই জীবন মোরে দান, সবই তো তোমারই অবদান” আমি উছিলা মাত্র।